নানজিং ম্যাসাকার: চীন
জাপানী সেনাবাহিনীর লোমহর্ষক এবং লজ্জাজনক এক অধ্যায়ের স্মৃতি জাদুঘর 'নানজিং ম্যাসাকার'(চীন) । মানুষের নৃশংসতার এক নগ্ন উদাহরন এ গণহত্যা। এই গণহত্যার স্মৃতি জাদুঘরের সামনের ফটকে চোখে পড়ল অর্ধ বক্ষ উন্মোচিত বিশাল এক নারীর ভাস্কর্য। যে তাঁর মৃত বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে অসীম আকাশের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তার পাশেই অনেক গুলো ছোট ছোট ভাস্কর্য, যা নানজিং ম্যাসাকারে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলিকে সুনিপুণভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এর মধ্যেএকটা ভাস্কর্যে এক মা মরে পড়ে আছেন; তাঁর ছোট বাবুটা মায়ের দুধ পান করছে আর বড় বাবুটা একটু দূরে বসে কাঁদছে।
মূল জাদুঘরে ঢোকার মুখে দেয়ালে বড় করে লেখা: ভিকটিম ৩০০০০০।ভিতরের দেয়ালে রয়েছে ৩লাখ শহীদের নাম, একটু এগিয়ে গেলে তাঁদের ছবি।আরো অনেক নিদর্শনের সাথে আছে গণকবর, যেখানে জীবিত মানুষ কবর দেয়া হয়েছিল।সেই স্থানটা কাঁচ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।আরো আছে ধ্বংস প্রাপ্ত ভবনের কিছু অংশ, যা আগের মতোই সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জাদুঘরে রক্ষিত বিভিন্ন নথির মধ্যে দেখলাম তখনকার জাপানী হেড কোয়াটার থেকে দেয়া আদেশ ‘কোনও যুদ্ধবন্দী গ্রহণ করা হবে না’। তার মানে হত্যা করতে হবে সবাইকে! ইতিহাসে কিছু এমন জঘন্য অলিখিত আদেশ থাকে,যা মানুষ কখনো ভুলতে পারেনা। যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ধর্ষনের সম্পর্কে, অস্ট্রেলীয় চিকিৎসককে এক পাক-অফিসার বলেছিল “আমাদের কাছে টিকাখানের নির্দেশনা ছিল যে, একজন ভালো মুসলমান কখনওই তার বাবার সঙ্গে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশি সম্ভব বাঙালি মেয়েকে গর্ভবতী করে যেতে হবে।"
বের হওয়ার পথে অবাক হয়ে দেখলাম ওরা ২২২জন জীবিত প্রত্যক্ষদর্শীর পায়ের ছাপ নিয়েছে কপারের উপর। সম্পূর্ণ জাদুঘরজুড়ে ছিল ইতিহাস সংরক্ষণের ঐকান্তিক চেষ্টা, যাতে বার বার মনে করিয়ে দেয় জাপানীদের বর্বরতা।
মূল জাদুঘরে ঢোকার মুখে দেয়ালে বড় করে লেখা: ভিকটিম ৩০০০০০।ভিতরের দেয়ালে রয়েছে ৩লাখ শহীদের নাম, একটু এগিয়ে গেলে তাঁদের ছবি।আরো অনেক নিদর্শনের সাথে আছে গণকবর, যেখানে জীবিত মানুষ কবর দেয়া হয়েছিল।সেই স্থানটা কাঁচ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।আরো আছে ধ্বংস প্রাপ্ত ভবনের কিছু অংশ, যা আগের মতোই সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জাদুঘরে রক্ষিত বিভিন্ন নথির মধ্যে দেখলাম তখনকার জাপানী হেড কোয়াটার থেকে দেয়া আদেশ ‘কোনও যুদ্ধবন্দী গ্রহণ করা হবে না’। তার মানে হত্যা করতে হবে সবাইকে! ইতিহাসে কিছু এমন জঘন্য অলিখিত আদেশ থাকে,যা মানুষ কখনো ভুলতে পারেনা। যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ধর্ষনের সম্পর্কে, অস্ট্রেলীয় চিকিৎসককে এক পাক-অফিসার বলেছিল “আমাদের কাছে টিকাখানের নির্দেশনা ছিল যে, একজন ভালো মুসলমান কখনওই তার বাবার সঙ্গে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশি সম্ভব বাঙালি মেয়েকে গর্ভবতী করে যেতে হবে।"
বের হওয়ার পথে অবাক হয়ে দেখলাম ওরা ২২২জন জীবিত প্রত্যক্ষদর্শীর পায়ের ছাপ নিয়েছে কপারের উপর। সম্পূর্ণ জাদুঘরজুড়ে ছিল ইতিহাস সংরক্ষণের ঐকান্তিক চেষ্টা, যাতে বার বার মনে করিয়ে দেয় জাপানীদের বর্বরতা।
যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বাড়ী(সংরক্ষন করা হয়েছে)
আমার দেখা সবচেয়ে আধুনিক ও সুন্দর স্থাপনার এই জাদুঘর দেখতে দেখতে আমার মনে পড়ছিল আমাদের ৭১ মুক্তিযুদ্ধের বর্বরতার ইতিহাস সংরক্ষণে আমাদের ব্যর্থতার কথা। যতটা অর্থের অভাব, তারচেয়ে বেশী সদ্বিচ্ছার অভাব, সাথে হলো ইতিহাস নষ্ট বা বিকৃত করার ইচ্ছে।
বেরিয়ে এসেও জাদুঘরের ভেতর দেখা জন রেবের একটা লাইনই ঘুরে ফিরে মনে আসছে ‘ফরগিভেবল বাট আনফরগেটেবল’।জন রেব সত্যিই বলেছেন এত মৃত্যু, এত কান্না, এত রক্ত ভুলে যাওয়া অসম্ভব।ইতিহাস কখনো ভুলে যাওয়াও উচিৎ নয়।।
আমার দেখা সবচেয়ে আধুনিক ও সুন্দর স্থাপনার এই জাদুঘর দেখতে দেখতে আমার মনে পড়ছিল আমাদের ৭১ মুক্তিযুদ্ধের বর্বরতার ইতিহাস সংরক্ষণে আমাদের ব্যর্থতার কথা। যতটা অর্থের অভাব, তারচেয়ে বেশী সদ্বিচ্ছার অভাব, সাথে হলো ইতিহাস নষ্ট বা বিকৃত করার ইচ্ছে।
বেরিয়ে এসেও জাদুঘরের ভেতর দেখা জন রেবের একটা লাইনই ঘুরে ফিরে মনে আসছে ‘ফরগিভেবল বাট আনফরগেটেবল’।জন রেব সত্যিই বলেছেন এত মৃত্যু, এত কান্না, এত রক্ত ভুলে যাওয়া অসম্ভব।ইতিহাস কখনো ভুলে যাওয়াও উচিৎ নয়।।
শহীদের স্মরণে সংখ্যগুনে ছোট ছোট লাইট দিয়ে সাজানো সিলিং
1 মন্তব্যসমূহ
that's sound good.I always try to visit new places and meet new people, know about there life and culture and make new friends. So i accept your offer.
উত্তরমুছুন