সেন্ট অগাস্টিনের মতে 'পৃথিবী একটা বই, আর যারা ভ্রমণ করে না তারা বইটি পড়তে পারে না।' আর আমি বই পড়তে প্রচণ্ড ভালবাসি। আর তাই পৃথিবী নামক খোলা বইটি পড়ার যখনই সুযোগ আসে, তখনি সাতপাঁচ ভাবনা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি।প্রতিটি ভ্রমণের আগে যেমন আমি আমার গন্তব্য নিয়ে প্রচুর ঘাটাঘাটি করি।এবারও অভ্যাস মতো ইউটিউবে মালদ্বীপ দেখতে গিয়ে আমার চোখ স্থির হয়ে গেল।আগেও জানতাম মালদ্বীপ সুন্দর, কিন্তু ওভাবে মালদ্বীপের আইল্যান্ডগুলো দেখিনি।আমার মনে হলো এ যেন কোন বিখ্যাত শিল্পীর আঁকা বিশাল ক্যানভাস।তাই মালদ্বীপ টুর নিয়ে উত্তেজনাও একটু বেশী। মিহির লংকান এয়ারলাইন্সে আমরা মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাএা শুরু করি।
শ্রীলংকায় বিমান ল্যান্ডিং এর কিছুক্ষণ আগে কয়েক জন বাংলাদেশী যাত্রী উঠে দাঁড়িয়ে ব্যাগ টানাটানি শুরু করে।তখন 'বোসো, বোসো ভাই' ভিন দেশীর মুখে বাংলা শুনে হাসি দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি বিমান কর্মী। তাতে অবশ্য লজ্জ্বা পেলাম, কারন এতে বুঝলাম বাংলাদেশী অশিক্ষিত যাএীদের বিশৃঙ্খলা থামাতে বিমান কর্মীদের বাংলাও শেখানো হয়।কারন মালদ্বীপে যত জন বাংলাভাষী ট্রাভেল করে, তার ৭০% কাজের জন্য মালদ্বীপ যায়।আমাদের ৩ঘণ্টার যাত্রা বিরতি শ্রীলংকায়। বিমান যখন বন্দেরর নায়েক এয়ারপোর্টে নামার কিছু সময় আগ থেকে জানালা দিয়ে নীচে ঘন সবুজের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা নারিকেলের গাছগুলো জানান দিচ্ছিল আমরা কোন দ্বীপ শহরে নামতে যাচ্ছি।
শ্রীলংকার এয়ারপোর্ট ছোটখাটো, কিন্তু গোছানো এবং পরিচ্ছন্ন। কোন এয়ারপোর্ট কতটা পরিষ্কার, তার মানদণ্ড হলো টয়লেট।যেমন আমাদের এয়ারপোর্ট! এখানে যাত্রা বিরতি সময় এদিক ওদিক হেঁটে, অনলাইনে পড়ে কেটে গেলো।সাথে অবশ্য মজাদার' মসলা টি ছিল ৩ কাপ।
অন্ধকার থাকায় ল্যান্ডিং এর সময় বাহিরে কিছুই দেখতে পাইনি।তবে বেশ ঝাঁকিয়ে ছিল, যেমনটা সমুদ্রের ধারের যে কোন বিমানবন্দরে নামতে হয়। মালদ্বীপ এয়ারপোর্টে পৌঁছলাম, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিট। বিমান থেকে নেমে হেঁটে রানওয়ে পার করে ইমিগ্রেশনে গেলাম।ছোট রানওয়ে, তাই বোধ হয় বেশ হার্ড ল্যান্ডিং করেছে।
এয়ারপোর্ট ছোট হলেও, কিন্তু বেশ ব্যস্ত। বের হয়েই পেয়ে গেলাম আমাদের হোটেলের এজেন্টকে। ব্যাগ নিয়ে এগুতেই, দেখি সামনেই সমুদ্র। জানতাম মালদ্বীপ এয়ারপোর্ট ছোট একটি দ্বীপে,তাই বলে এত ছোট জায়গায় ভাবতে পারিনি। মানুষ দেখলাম ট্রলি ঠেলে জেটির দিকে যাচ্ছে। অন্যদেশে যেমন পার্কি লটের দিকে যায়।জেটিতে ছোট-বড় অনেক স্পিড বোট, কোনটায় যাএী উঠছে কোনটা ছেড়ে যাচ্ছে। এককথায় বেশ ব্যস্ত, তবে সুশৃঙ্খল।
আমরা চলে গেলাম হুলহুমালে।এয়ারপোর্ট থেকে ১৫/২০মিনিটের রাস্তা। রাস্তার দুপাশে ছিল সমুদ্রের নীলাভ জলের রাজত্ব।তাতে চাঁদ আলো পড়ে মোহনীয় রূপ ধারণ করেছে।নাগরিক আলোয় দ্বীপটিকে গোছানো আর পরিচ্ছন্ন মনে হলো।আমাদের হোটেলটি ছিল ঠিক সাগরের উল্টো দিকে।তাই সাগরের মিষ্টি বাতাস,আর ঢেউের গর্জন যেন আমাকে কানে এসে ফিসফিসিয়ে আগামনী অভিনন্দন জানাচ্ছে।
পরদিন সকালে সাদা বালির সৈকতে আকাশী জলের আঁছড়ে পড়ার অপার্থিব সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ব্রেকফাস্ট করি।এরপর আমরা প্যারাডাইস আইল্যান্ড রিসোর্টে যাওয়ার জন্য এয়ারপোর্টে এলাম। এখানে সব আইল্যান্ড রিসোর্টের আলাদা আলাদা ডেক্স আছে।আমরা নিদিষ্ট ডেক্সের সামনে অপেক্ষা করলাম, আরেকটা ফ্রাইটের কয়েক জন গেস্ট আসবে,তাই।
জেটি থেকে আমাদের নিয়ে স্পিড বোটে যখন ভারত মহাসাগরের মধ্যে দিয়ে ছুটছে।বড় বড় ঢেউ আর বাতাসে মনে হলো আমরা পানির উপর দিয়ে উড়ছি।এতে ভয় মেশানো এডভেঞ্চার অনুভব করলাম। মালদ্বীপে প্রায় ১১১৯২টি দ্বীপ আছে। যার ১৫০টি দ্বীপে বিভিন্ন মানের রিসোর্ট আর বাকী দ্বীপ গুলোতে স্থানীয়রা থাকে।একটি দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাতায়াতের মাধ্যম স্পিডবোট। স্থানীয় ভাবে বানানো এক ধরনের বোটে ইঞ্জিন লাগিয়ে স্পিড বোট বানানো হয়েছে, যার নাম ধুনি। অনেকটা আমাদেরদেশের ছোট লঞ্চের মতো।প্রায় ২৫/৩০ মিনিট লাগলো। আইল্যান্ডে যেতে আরো দ্বীপ দেখেছি। দূর থেকে নীলাভ পানির মধ্য যেন একটুকরো সবুজ কোন পাথর যা অবিরত ভাবে ফিরোজা বা ফ্রেস্ট কালারেরর পানিতে স্নান করছে চারদিক থেকে।বাচ্চাদের মতো অবাক হয়ে দেখছি, আসলে চোখের সামনে সৌন্দর্য্যের এমন বাড়াবাড়িতে আবেগ নিয়ন্ত্রন করে স্বাভাবিক থাকা কঠিন ।প্যারাডাইস আইল্যান্ডের জেটিতে নামার পর তো মনে হলো আমি যেন স্বর্গের দরজায় এসেছি।শ্রষ্ঠা এই প্রকৃতির কন্যাকে যেন নিজ হাতে সাজিয়েছেন। চারপাশ দেখতে দেখতে কাঠের লম্বা সেতু পার হয়ে আমরা অভ্যর্থনা কক্ষে এলাম।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট আমাদের হট টাওয়াল আর পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি জুস দিয়ে অভ্যর্থনা জানালো।প্রয়োজনীয় তথ্যের ফরমপূরণ ও পাসপোর্টের ফটোকপি করে রুমের চাবি দিয়ে কি কি সুবিধা আমরা পাবো তা কোথায়, কখন সব বুঝিয়ে দিলো একজন কর্মী।কাজ শেষ করতে করতে লান্সের সময় হয়ে গেল।তাই রুমে না গিয়ে আগে রেস্টুরেন্টে গেলাম।কারণ কিছুক্ষণের মধ্যে সময় শেষ হয়ে যাবে। লেগুন রেস্টুরেন্টটি সমুদ্রের উপরে।একসাথে প্রায় ৩০০ জন বসতে পারে।রেস্টুরেন্টে বুফে ডিনার, নিরামিষ ভোজীদের জন্য আলাদা কর্ণারর আছে।বাংলাদেশ ছাড়া যেখানেই আমার খাবারের কোন সমস্যা হয় না।বাংলাদেশের দামী হোটেলগুলোতেও নিরামিষ ভোজীদের কথা মনেই রাখে না।
প্যারাডাইস আইল্যান্ডের স্থানীয় নাম লাংকাফিনলহো। দ্বীপটির চারপাশে একতলা বিচ বাংলো দিয়ে সাজানো।এছাড়া অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ও বিলাসী পর্যটকদের জন্য আছে সমুদ্রের পানির উপরে তৈরি করা ওয়ার ভিলা, হেভেন ভিলা, হেভেন স্যুট, ওশেন স্যুট।এই ভিলা গুলো মূল আইল্যান্ডের সাথে কাঠের সেতু দিয়ে মালার মত সাজানো।এই ভিলা গুলো বিচ ভিলার চেয়ে ব্যয়বহুল।ছোট দুটি রেস্তোরাঁ ছিল রিসোর্টের দুই প্রান্তে।খাওয়া শেষে আমরা রুমে গেলাম।
আমরা নিয়েছিলাম ওয়াটার ভিলা।দরজা খোলার আগ পর্যন্ত আমরা জানতাম না,আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।দরজার সামনে ছোট্ট দুটো বাগান নিয়ে ছোট ছোট ঘর গুলো শোভন দুরত্বে সাগরের পানির উপর দাঁড়িয়ে আছে।ভিতরের দরজা খুলেই আমি ভাষাহীন হয়ে গেলাম, দিগন্তবিস্তৃত সমুদ্র, সবুজাভ স্বচ্ছ পানি,নীচে সাদা বালি।মাথার উপর নীল আকাশ। কাঠের খোলা একটু উঠান পেরেয়ে সিঁড়ি বেয়ে সাগরে নেমে গেলাম আমি কোন প্রস্তুতি ছাড়া। মনে হলো আমি সাগরে নয় কোন সাজানো গোছানো রঙিন মাছের একুরিয়ামে নেমেছি। জলের গভীরতা বেশী না হওয়ায় নির্ভয়ে বেশ সময় কাটায়েছি।পানি থেকে উঠে খোলা বাথ টাবে শাওয়া নিয়ে স্বর্গে প্রবেশের আনন্দের খানিকটা উপভোগ করলাম।সূর্য স্নানের জন্যও দুটো সোয়ানো চেয়ার দেয়া ছিল।সাথে বই পড়া বা আরাম করে শুয়ে শুয়ে সমুদ্র দেখার জন্য বিছানা দেয়া ছিল,এবং কফি খাওয়ার জন্য কর্নারে সুন্দর আয়োজন ছিল।
পর্যটকদের জন্য আইল্যান্ডটি সাজানো হয়েছে রিসেপশন অফিস, কনফারেন্স হল, রেস্টুরেন্ট,বার, সুইমিংপুল, ফুটবল মাঠ, ফটো কর্নার, ফিটনেস ক্লাব, চিলড্রেন পার্ক, স্পা, সুভেনির শপ, সেলুন ইত্যাদি দিয়ে। রাতের প্রোগ্রামের তথ্যের জন্য একজন কর্মীর সাথে কথা গিয়ে কথা প্রসঙ্গে সে জানায় বাংলাদেশি এবং এখানে ৭০/৮০ জন বাংলাদেশি কাজ করে।
পর্যটকদের জন্য রিসোর্টে বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবস্থা রেখেছে। যেমন: নাইট ফিসিং, স্নোকেলিং, আইল্যান্ড হপিং, ফিশিং, ডলফিন সানসেট, ব্লু ওয়াটার সাফারি, ফটো ফ্লাইট বাই সি প্লেন, সাবমেরিন ট্রিপ ,ও মালে সিটি ভ্রমণ।আমি আগেই ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন আইল্যান্ডে বেড়ানোর কারনে আমার বিভিন্ন ওয়াটার এক্টিভিটির মধ্য এগুলো করা হয়েছে।তাই এখানে নাইটফিসিং, সাবমেরিন ট্রিপ, কায়াকিং ও ডলফিন সানসেট প্রোগ্রামের বুকিং দিলাম।
আইল্যান্ডের একপাশে রাতের বেলার সময় কাটানোর জন্য লাইভ মিউজিক, বেলি ড্যান্স, গেম সো,ডিসকোর ব্যবস্থা ছিল।সাগরের পাড়ে যেমন খোলা বারও ছিল, তেমনি রোমান্টিক ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের ব্যবস্থাও ছিল সাগরের পানিতে পা ভিজিয়ে।এককথায় রোমান্টিক সব আয়োজন। আবার আমার মতো যাদের সাগরের গর্জন বা নির্জনতা পছন্দ তাদের জন্য আছে সাগরের উপরে খোলা আকাশের নীচে চাঁদ দেখতে দেখতে খাওয়ার ব্যবস্থা।
মানবসৃষ্ট হেভেনের সিঁড়িতে বসে সাগরের পানিতে পা ভিজিয়ে, চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় কফির মগে চুমুক দিতে দিতে ভেবেছি, সাগরের পানির এত রং বিভাজন কখনো হয়? কোথাও সবুজাভ, কোথাও গাড় নীল,আকাশী, ফিরোজা কোথাও।
সকালের জগিং এ পুরো আইল্যান্ড ঘুরেছি।হাঁটতে বের হয়ে আমার সাথে বন্ধুত্ব হয় khi এর সাথে। সে আমাকে মাছ দেখাবে, কিছুতেই যেতে দিবে না।সে আমাকে এত্ত পছন্দ করলো যে আমাকে গাছ থেকে ফুল নিয়ে আমাকে দিলো।তার মা,বাবার সাথে কথা হয়, তারা অষ্টেলিয়ান।বাংলাদেশকে চেনে এই ক্রিকেট ভক্ত। আমিও খুশী হলাম যে আমাকে বাংলাদেশ চেনাতে তাকে বলতে হলো না, 'ভারতের পাশের দেশ'।যা বেশীর ভাগ বিদেশীকে বলতে হয় বাংলাদেশ চেনাতে।যা আমার কাছে অস্বস্তিকর।
বিকালে আমরা ডলফিন সানসেট প্রোগামে যাই ১৫/১৭জন।প্রথমেই আমাদের সাথের গাইড নিজের পরিচয় দিয়ে জা নিয়ে দিলো এটা ডলফিনের প্রজনন ও বিচরণের অভ্যায়ারন্য।তারা এখানে মুক্ত প্রাণী, তাই হয়তো বা ঝাঁকেঝাঁকে ডলফিনও দেখতে পারেন আবার একটাও না দেখতে পারেন। তাই এনিয়ে আগাম কিছু তারা আশা দেয় না।তবে আমাদের হাতে জুসের গ্লাস দিতে দিতে জানালো,সূর্যাস্ত দেখা যাবে,আকাশ যেহেতু পরিষ্কার।বিশাল বিশাল ঢেউের সাথে লাফালাফি করে ধুনি প্রায় ৩০ মিনিট চলারপর ভারত মহাসাগরের মাঝামাঝি একটি বিশেষ জায়গায় এসে পৌঁছলাম।যেখানে সাগরের জল গাঢ় নীল, আমাদের বোটের গতি কমিয়ে দিলো, যাতে ডলফিনের চলাচল দেখা যায়।প্রথমে এক দুটো এদিক ওদিক লাফালাফি করতে দেখে সবাই ওয়াও বলে চিৎকার দিলো।এরপর দেখতে ঝাঁক বেঁধে ডলফিনরা খেলা করতে করতে পানিতে এগিয়ে যাচ্ছে।কখনো এদিক ওদিক। যেন আমাদেরকে ওদের খেলা দেখানোর জন্যই এত চঞ্চলতা। আমি ক্যামেরার সার্টারর টুপেই গেলাম, তবে চোখ ছিল জলে।কি ছবি উঠলো বা না উঠলো তা দেখতে গিয়ে নিজ চোখে দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে রাজী নই। সূর্য যখন ভারত মহাসাগরে ডুব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল,অস্তমিত সূর্যের সোনালি আভা যেন সাগরের গাঢ় নীল পানিকে এক নান্দনিক সৌন্দর্যে দান করেছে।
রাতে তীরে আসা স্ট্রিং ং মাছকে খাবার খাওয়ানোর এডভেঞ্চারে অংশ নিয়ে, হুলহাঙ্গু বারের সামনে পেতে রাখা কাঠের বেঞ্চে বসে লাইভ মিউজিকের সাথে ডিনার সেরেছি আমরা।এরপর কিছুক্ষণ আইল্যান্ডের নির্জন কোণে গাছের ডালের সাথে বেঁধে রাখা পাখির বাসার আকৃতির দোলনায় দোল খেতে খেতে কিছুটা উদাস হয়েছি পরদিন স্বর্গ ত্যাগের বিদায়ী বিষন্নতায়।তবে মানব সৃষ্ট হেভেনের ১১৯নং ভিলায় তিনদিন যাপন আমার স্মৃতির পাতায় একরাশ সুখানুভূতি যোগ করলো।আর সবুজাভ জলে চাঁদের রূপালী আলোর বন্যার সৌন্দর্য উপভোগের বর্ণনা করার মতো শব্দও আমার আভিধানে নেই।
শুধু বলব যেসব পর্যটক বাতাসের মৃদুলয়ে হারাতে চায়, নির্জনতা ভালোবাসেন বা সাগরের নীল জলে অবগাহন করতে চান তাদের জন্য মালদ্বীপ স্বর্গভূমি এবং বেশী দুরের পথও নয়, নয় খুব বেশী ব্যয়বহুল।
কিভাবে যাবেন:
মালদ্বীপ বিশ্বের সকল দেশের নাগরিকদের ৩০ দিনের জন্য অন আ্যরাইবাল ভিসা দিয়ে থাকে।বাংলাদেশীরাও সেই সুবিধা পেয়ে থাকে।তবে কেউ যদি ৩০ দিনের বেশি থাকতে চায়, তাহলে ৭০০ মালদ্বীপ রুপি দিতে হবে।শুধুমাত্র ভারতীয় এবং ব্রুনাইয়ের নাগরিকদের দিতে হবে না।বাংলাদেশি টুরিস্টরা শুধু পাসপোর্ট, রিটার্ন টিকিট আর হোটেল বুকিং এর কাগজ নিয়ে ইমিগ্রেশনে গেলেই হবে।
1 মন্তব্যসমূহ
বিমান ভাড়া বাদ দিয়ে, আমাদেরকে প্যারাডাইস আইল্যান্ডের ওয়াটার ভিলার একরুমের দুই রাত তিন দিনের জন্য খরচ করতে হয়েছিল এক লক্ষ বার হাজার টাকা। এই টাকার মধ্যে ছিল তিন বেলার ফুড, যাতায়াত। তবে বিচ ভিলায় খরচ অর্ধেক। আর বিমান ভাড়া নির্ভর করে সময় আর রুটের উপর।
উত্তরমুছুন