1. কাঠমান্ডু অন্বেষণ করুন: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু না দেখে অন্য শহরে যাওয়া আমার মতে বোকামি।নেপাল ভ্রমণ শুরুকরা উচিৎ কাঠমুন্ডু থেকে। পশুপতিনাথ এবং বদ্রীনাথের আইকনিক মন্দিরগুলি দেখার মতো।এছাড়া ঐতিহাসিক দরবারস্কোয়ারের চারপাশে ঘুরে না দেখলে তো কাঠমুন্ডু ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।নেপালের স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা জন্যকাঠমুন্ডু উত্তম জায়গা।
2. এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ট্রেক করুন: এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ট্রেকিং করে চূড়ান্ত অ্যাডভেঞ্চারে যাত্রা করুন। হিমালয়ের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখুন, শেরপা সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ করুন এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখরের পাদদেশে থাকার রোমাঞ্চঅনুভব করুন।
3. পোখরা বেড়াতে যান: মনোরম শহর পোখরাতে যান, যা তার অত্যাশ্চর্য হ্রদ এবং পর্বত দৃশ্যের জন্য পরিচিত। ফেওয়া লেকে নৌকায় চড়ে যান, ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডায় যান এবং সত্যিকারের আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতার জন্য প্যারাগ্লাইডিংয়ে যান।যদি এডভেঞ্চার প্রিয় হয়ে থাকেন।
4. চিতওয়ান জাতীয় উদ্যান: চিতওয়ান জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে কিছু সময় না কাটালে নেপাল ভ্রমণ বৃথা হবে।বেঙ্গল টাইগার এবং এক শিংওয়ালা গন্ডারের মতো বিপন্ন প্রজাতি দেখতে হলে এক ধাপ এগিয়ে জঙ্গল সাফারির এডভেঞ্চারনিতে হবে।এছাড়াও আপনি বেশ কিছু রাইড উপভোগ করতে পারেন এবং ঐতিহ্যবাহী থারু সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখতে পারেন।
5. ভক্তপুর: প্রাচীন শহর ভক্তপুর আবিষ্কার করুন, যা তার সুসংরক্ষিত মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। জটিলভাবে খোদাইকরা মন্দিরগুলি অসম্ভব সুন্দর।এছাড়া এলাকার সরু গলিগুলি ঘুরে দেখুন এবং খাঁটি নেওয়ারি খাবারের স্বাদ নিন।
6. লুম্বিনী: ভগবান বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীতে যেতে পারেন।পবিত্র বৌদ্ধ তীর্থস্থান দর্শন এবং মায়াদেবী মন্দির পরিদর্শন করতেপারেন।এছাড়া লুম্বিনী হলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ধ্যানের জন্য বিখ্যাত।
7. নাগারকোট: নাগরকোট থেকে হিমালয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করুন। তুষার-ঢাকা চূড়ার উপর মুগ্ধকর সূর্যোদয়ের সাক্ষীহতে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন, এবং আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের মধ্য দিয়ে চাইলে হাইক করা যায়।
8. জনকপুর: জনকপুরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অভিজ্ঞতা নিন, একটি শহর যা হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের সাথে সম্পৃক্ততারজন্য বিখ্যাত।দেবী সীতাকে উত্সর্গীকৃত জানকী মন্দিরে যেতে পারেন এবং প্রাণবন্ত স্থানীয় উত্সব এবং ঐতিহ্যগুলি উপভোগকরতে পারেন।
9. তানসেন: পালপা জেলায় অবস্থিত তানসেনের মনোরম পাহাড়ি শহরটি ঘুরে দেখুন। এর গলিত রাস্তায় ঘুরে বেড়ান, ঐতিহাসিক তানসেন দরবার দেখুন এবং আশেপাশের উপত্যকার অত্যাশ্চর্য দৃশ্য উপভোগ করুন।
10. গোর্খা: ঐতিহাসিক শহর গোর্খা ঘুরে বেড়াতে পারেন।এখানে বিখ্যাত গুর্খা যোদ্ধাদের পৈতৃক বাড়ি।এখানে গোর্খাদরবার দেখতে পারেন।গোর্খা প্রাসাদ সহ এই অঞ্চলের আকর্ষণীয় ইতিহাস সম্পর্কে জানুন।
11. ল্যাংটাং জাতীয় উদ্যান: নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত ল্যাংটাং জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে ট্রেকিং করতে পারেন।তাতে বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।এছাড়া এখানে, বন্ধুত্বপূর্ণ স্থানীয় সম্প্রদায়ের মুখোমুখি পরিচিতহতে পারেন এবং ল্যাংটাংথেকে হিমালয়ের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
12. রারা হ্রদ: মুগুর প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি লুকানো রত্ন বলা যেতে পারে রারা হ্রদকে।সবুজ বনে ঘেরা আদিম ফিরোজা জলে শুধুআশ্চর্য হবেন না, হ্রদে বোটিংও করতে যান।এছাড়া নেপাল ভ্রমণের একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার জন্য তারার রাতের আকাশের নীচে ক্যাম্প করুন৷
আশা করি এই ভ্রমণ টিপস গুলো আপনার নেপাল ভ্রমণের সময় সহায়তা করবে। আশা করছি আপনি নেপালের সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং এডভেঞ্চারের আনন্দ উপভোগ করবেন। ভ্রমণে শুভ কামনা রইলো!
0 মন্তব্যসমূহ